ঢাকা, ২৭ নভেম্বর বুধবার, ২০২৪ || ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৮৫

চিকিৎসাসেবা দিতে না পারলে চাকরি থেকে চলে যান: প্রধানমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:০৮ ২৭ জানুয়ারি ২০১৯  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে না পারলে তাদের চাকরি থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 আজ রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সব জেলায় সার্ভে করতে হবে, কেন হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না। যারা সেবা দেবেন না, তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে রাখতে হবে। চিকিৎসকদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে চাকরি থেকে চলে যেতে হবে তাদের। 

তিনি বলেন, আমাদের ডাক্তাররা সবসময় প্রাইভেট চিকিৎসা দিতেই পছন্দ করে। পৃথিবীর বহু দেশ আছে, সরকারি চাকরি যতদিন করে, ততদিন কিন্তু প্রাইভেট চাকরি করতে পারে না।

 

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃবিভাগে এ ধরনের একটি ব্যবস্থা চালু থাকার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটা কিন্তু আমরা অন্যান্য জেলা হাসপাতালেও করে দিতে পারি, যেন তাদের বাইরে না যেতে হয়। সন্ধ্যার পরে বা ছুটির সময় ওখানেই একটা প্রাইভেট প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা বা আলাদা একটা উইং করে দেওয়া যেতে পারে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে রোগী দেখার পরে প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে কেউ রাত ১২টা, ১টা, ২টা পর্যন্তও নাকি অপারেশন করে। যে ডাক্তার রাতভর অপারেশন করবে, সে আবার সকাল ৮টার সময় এসে রোগী দেখবে কী করে? তার মেজাজাতো এমনিই খিটখিটে থাকবে। এটা যেন না হয় সেদিকে একটু দৃষ্টি দেওয়া দরকার।

 

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনিবলেন, সবার আগে প্রত্যেকটা জেলায় সার্ভে করে দেখবেন। এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে কত রোগী যাচ্ছে, ডাক্তাররা সেখানে থাকছে না কেন? ডাক্তারদের সেখানে বদলি করা হবে। তারা যদি কাজ না করে, সবগুলোকে ওএসডি করে রেখে দিতে হবে। তাদের দরকার নেই। নতুন ডাক্তার দিতে হবে।      

 

 শেখ হাসিনা বলেন, নার্সদের আমি সম্মান দিয়েছি ঠিক। কিন্তু রোগীর সেবাটা তাদের করতে হবে, এটা বাধ্যতামূলক। না করলে সে চাকরিতে থাকবে না, চলে যাবে। অনেক প্রাইভেট জায়গা আছে। কাজের অসুবিধা নেই। লোকেরও অসুবিধা নেই। আমরা ট্রেইনিং করিয়ে নিয়ে আসব।

সারাদেশে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ডাক্তার তৈরি করা এবং তাদের উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়ার কথাও তিনি বলেন।

 

তিনি বলেন, আসলে মেডিকেল কলেজ এত বেশি হয়ে যাচ্ছে, আর আমরা বাঙালি হুজুগে মাতি। যে জায়গায় যাই, সেখানেই একটা মেডিকেল কলেজ দরকার। আমাদের কোনো কোনো জেলায় চারটা উপজেলা। সেখানে একটা মেডিকেল কলেজ করে চলবে কী না সেটাও একটা প্রশ্ন আছে। যতগুলি মেডিকেল কলেজ, সেটার একটা সার্ভে করা উচিত মন্ত্রণালয়ের যে, প্রত্যেকটা মেডিকেল কলেজ কী অবস্থায় আছে, কতজন শিক্ষার্থী আছে, কতজন শিক্ষক আছে, শিক্ষার কী কী সুযোগ সৃষ্টি আছে। সেটা আগে দেখা দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার থাকে না, নার্স থাকে না- এটা অনবরত একটা নালিশ। এক্ষেত্রে আমি বলব, এখন ডিজিটাল সিস্টেম। আইডি কার্ডও করা আছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি-অনুপস্থিতির হিসাবটা নেওয়া যায়। প্রত্যেকটা সরকারি হাসপাতালে মনে হয় এই ব্যবস্থাটা করে দেওয়া উচিত।

রোগীর পুরো বৃত্তান্ত একসঙ্গে পাওয়ার জন্য হেল্থ কার্ডও ডিজিটাল হওয়া উচিত বলে মত দেন সরকারপ্রধান।

 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর